মোঃ নবিউল ইসলাম দুলু, দিনাজপুর প্রতিনিধি : দিনাজপুরে দিন দিন চাষ বাড়ছে ভিনদেশী লাভজনক ফসল “চিয়া”। ২০১৭ সালে প্রথম এই অঞ্চলে চিয়ার চাষ শুরু হয়। ফসলটি বাজার মূল্যে ভালো থাকায় এই চাষে অনেকেই আগ্রহ হচ্ছেন। উন্নত রাষ্ট্রে চিয়া বেশ জনপ্রিয় হলেও বাংলাদেশে এটি প্রায় নতুন ফসল। তবে চিয়া সম্প্রসারণে কৃষি অফিস থেকে সব ধরনের সহযোগীতাসহ বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। চিয়া একটি পুষ্টি ও ঔষধী সমৃদ্ধ ফসলের পাশাপাশি ব্যাপক লাভ জনক হওয়ায় দিনাজপুরে এই ফসলের চাষ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
মাত্র ৩ বছর আগে এই জেলার চিয়ার পরিক্ষা মূলক চাষ হয় মাত্র ৫ শতাংশ জমিতে। বাংলাদেশে চিয়া’র পরিচিতি ও ব্যবহার কম হলেও আমেরিকা ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে এর চাহিদা ব্যাপক। চিয়ায় প্রচুর পরিমানে এন্টি অক্সিডেন্ট আছে এবং এটি ডায়াবেটিস, ক্যানসার, হৃদরোগসহ বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে সক্ষম। অনেক আগে থেকেই মেক্সিকো, গুয়েতেমালা ও কলম্বিয়াসহ আমেরিকার কয়েকটি দেশে চিয়া চাষ হচ্ছে। দিনাজপুর সদর উপজেলার বনকালি গ্রামে চিয়া চাষের সাফল্য দেখতে সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং হাজী দানেশ বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল উর্দ্ধতন কৃষিবিদ।
চিয়া চাষী নুরুল আমিন ২০১৭ সালে প্রথম তিনি চিয়া চাষ করে সাফল্য পান। এবার অন্য কৃষকের সাথে যোগাযোগ করে বিভিন্ন এলাকায় ৩১ একর জমিতে চিয়া চাষ করেছেন। অনেক চাষী এই চাষ দেখতে এসে ও লাভের কথা ভেবে বেশ উৎসাহ হচ্ছেন। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিতত্ত¡ বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর ড. মশিউর রহমানের পরামর্শ ও সযোগিতায় এই চাষ সম্প্রসারণ বাড়ছে। বাংলাদেশে রবি ফসল চাষযোগ্য যে কোন জমিতে চিয়া চাষ সম্ভব বলে মনে করনে তিনি।
তিনি ২০১৬ সালে কানাডার এক বন্ধুর কাছ থেকে চিয়া বীজ পেয়ে তিনি পরীক্ষামূলক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিতত্ত¡ খামার গবেশনাগারে চিয়া চাষ করেন এবং পরে দিনাজপুরে নুরুল আমিনের কাছে বীজ সরবরাহ করে চিয়া চাষে সহযোগিতা করেন। এই অঞ্চলে চিয়া চাষের উপযুক্ত আবহাওয়ার কারনে চিয়া চাষ বাড়ছে। এটি কৃষক পর্যায়ে সম্প্রসারণের যথেষ্ঠ সুযোগ আছে বলে জানালেন এই কর্মকর্তা। চিয়া বপনের পর মাত্র ১১৫ থেকে ১২০ দিনের মধ্যে কাটা যায় এবং প্রতি একর জমিতে ফলন হয় ২০ থেকে ২৫ মন। চিয়ার প্রতি কেজির বাজার মূল্য ১হাজার থেকে ১৫শ টাকা।