ফেনী প্রতিনিধি : ফেনীর সোনাগাজীতে সাংবাদিক আরফিন শরিয়তের উপর হামলায় মামলা দায়েরের জের ধরে এবার তাদের পিকআপ গাড়িতে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) গভীর রাতে উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নে তাদের গ্রামের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, দৈনিক ইত্তেফাকের ঢাবি সংবাদদাতা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সদস্য আরফিন শরিয়তের পরিবারের সঙ্গে প্রতিবেশী শহিদ উল্যাহর জায়গা-জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। সম্প্রতি বাবার মৃত্যুবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে অংশ নিতে বাড়িতে যান শরিয়ত। সেখানে গিয়ে জানতে পারেন তার পরিবারের কাছে চাঁদা দাবি করেছেন স্থানীয় আমিরাবাদ ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব নবী ফরহাদ। শরিয়তের পরিবারের পক্ষ থেকে চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে গত সোমবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপরে তাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান। একপর্যায়ে যুবলীগ নেতা ফরহাদসহ সহযোগীরা আরফিন শরিয়তের ওপর হামলা চালায়। এ সময় লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে জখম করা হয়। এতে তার বাম চোখ ও নাকে জখম হয়। এ ঘটনায় পরদিন যুবলীগ নেতা ফরহাদসহ চারজনকে আসামি করে মামলা করে শরিয়ত। কিন্তু এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
আহত শরিয়ত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লিখেন, ‘রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত তিনটার দিকে হঠাৎ পোড়া গন্ধে বাড়ির সবার ঘুম ভাঙে। দরজা খুলে দেখেন উঠোনে থাকা তাদের মালিকীয় পিকআপটিতে কে বা কারা আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। এতে গাড়িটি পুড়ে ভস্মীভুত হয়ে যায়।’
অভিযোগ অস্বীকার করে যুবলীগ নেতা আইয়ুব আলী ফরহাদ বলেন, ‘সাংবাদিক শরিয়তের উপর হামলা ও তাদের গাড়িতে আগুনের ঘটনায় আমি জড়িত নই।’ এ বিষয়ে সোনাগাজী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজেদুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনাটি আমি শুনেছি। প্রধান আসামিকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আজকের ঘটনায়ও পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখছি।’ এ বিষয়ে পুলিশ সুপার খোন্দকার নুরুন্নবী বলেন, ‘আমরা বিষয়টি অধিকতর গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। এ ধরনের ঘটনা কখনো কাম্য নয়। আমরা দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।’