জহুরুল হক মিলু, লোহাগড়া প্রতিনিধি : নড়াইলের লোহাগড়ায় ফল বিক্রি করে সংসারে স্বচ্ছলতা এনেছেন লোহাগড়া উপজেলার চর-মল্লিকপুর গ্রামের মো. আজগর শেখের ছেলে মো. নয়ন শেখ। লোহাগড়া বাজারের স্বর্নপট্রিতে ফুটপাতে একটি স্বর্নের দোকানের কোনায় বসে সারা দিন ফল বিক্রি করেন তিনি। প্রতিদিন ৯ থেকে ১০ হাজার টাকার ফল বিক্রি করেন নয়ন। ৩ ভাই ও ৩ বোনের মধ্যে নয়ন শেখ দ্বিতীয়। নবম শ্রেণি পযর্ন্ত লেখাপড়া করেছেন তিনি। অভাবের কারণে সেসময় তাকে বিদ্যালয় ছেড়ে চলে আসতে হয়েছিল। কিশোর বয়সেই বাধ্য হয়ে তাকে ধরতে হয়েছিল সংসারের হাল। বছর চারেক আগে থেকে তার অবস্থার পরিবর্তন হতে থাকে। মো. নয়ন শেখের সঙ্গে কথা বলার সময় স্থানীয় দুই ব্যক্তি এলেন ফল কিনতে। তারা প্রসাদ গাইন ও তাপস স্বর্নকার দুইজনই বলেন, নয়ন শেখের দোকান ছোট হলেও ওর দোকানে মৌসুমি দেশি ও বিদেশি ফল বিক্রি করা হয়। আমরা নয়ন শেখের দোকান থেকেই সবসময় ফল কিনি। মো. নয়ন শেখের দোকানে আপেল, কমলা, মাল্টা, আঙুর, বেদানা, খেজুরসহ সব মৌসুমি ফল পাওয়া যায়। ফল বিক্রেতা মো. নয়ন শেখ বলেন, আমি প্রথমে আমার বাবাকে কৃষি কাজে সাহায্য করতাম। জমির ফসল বিক্রি করে যে টাকা হত সেই টাকা দিয়ে সংসারের কাউকে ভাল জিনিস খাওয়াতে ও পড়াতে পারতাম না। সংসারের অভাব অনটন পিছু ছাড়তো না। পরে আমার বাবা ও পরিচিত লোকজনদের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা ধার করে ছোট একটি ফলের দোকান দেই। এর পর থেকে সংসারে স্বচ্ছলতা ফিরতে শুরু করে। এখন বেশ ভালোভাবেই চলছে আমার সংসার। তিনি আরও বলেন, বেকার যুবকরা চাকরির পেছনে না ঘুরে অল্প কিছু টাকা দিয়ে ফলের ব্যবসা করেও স্বাবলম্বী হতে পারেন। ৫০-৫৫ হাজার টাকা ব্যয় করে মাসে ২০-২৫ হাজার টাকা অনায়াসে রোজগার করা যায়। দেশি ও বিদেশি ফল বিক্রি করে নয়ন শেখের মতো আরো অনেকেই নিজেদের ভাগ্য বদল করতে পারে এমনটি ধারণা নয়ন শেখের।